ঢাকারবিবার , ১৫ জুন ২০২৫
  • অন্যান্য

৫ ইসলামি ব্যাংকের একীভূতকরণ সিদ্ধান্ত, কর্মীদের চাকরিচ্যুতির শঙ্কা নেই: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৫, ২০২৫ ৫:৫২ অপরাহ্ণ । ৪৭ জন

দেশের পাঁচটি বেসরকারি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন না বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া এবং আগামীর সরকারও এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি।”

গভর্নর জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত করা হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের চাকরিচ্যুতি না হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী শাখা স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত রয়েছে, সেগুলোকে গ্রামীণ অঞ্চলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

গভর্নর মনসুর বলেন, “ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত ও স্থিতিশীল করা। এতে গ্রাহক সেবা উন্নত হবে এবং অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক—আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।

তিনি জানান, কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর বলেন, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে।

এসআর