অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করবেন। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা বড় একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সংকট থেকে উত্তরণে সবার ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’-তে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য তুলে ধরেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেছেন, “সবাই একসঙ্গে বসায় আমার সাহস বেড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির নানা চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করা জরুরি। জাতিকে বিভক্তির হাত থেকে বের করে এনে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এটা একটি ঐতিহাসিক সুযোগ—দেশকে পুনর্গঠনের, সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, যেন দেশ অচল হয়ে পড়ে, সবকিছু ভেঙে পড়ে এবং আমরা আবার পরাধীনতার পথে ফিরি।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এই ষড়যন্ত্র করছে, তারা চায় দেশ আবার গোলামির চক্রে ফিরে যাক। কিন্তু আমি যতদিন আছি, এমন কোনো কাজ করবো না যা দেশের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে সবাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।”
প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে জানান, “আমি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাই। যদি তা না পারি, তাহলে নিজেকে ব্যর্থ ও অপরাধী মনে করবো।”
এসআর








