ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৫ মে ২০২৫
  • অন্যান্য

সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে ছাত্রদলের অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মে ১৫, ২০২৫ ৮:২৮ অপরাহ্ণ । ৭৮ জন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে একটি সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওসিম আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আফফান আলী।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বারবার রাজপথে রক্ত দিয়েছি। আমাদের সহযোদ্ধারা গুম-খুনের শিকার হয়েছে। কিন্তু গত জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশের আপামর মানুষের সঙ্গে যখন রাজপথে রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনাকে সরিয়ে ছিলাম তখন বিশ্বাস করতে পেরেছিলাম বাংলাদেশে হাসিনার সময়ের মতো হয়তো আর রক্ত দেওয়া লাগবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি কিছুদিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে। আবার সাম্যাকে হত্যা করা হলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হচ্ছে একজন ছাত্রের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। এই পবিত্র স্থানে আমাদের ভাই সাম্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গণ-অভ্যূত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস আশা করেছিলাম। আমরা গত ১৭ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দখলদারিত্বের, সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখেছি। আমরা মনে করি এটি তারই ধারাবাহিকতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্লিপ্ততার কারণে আজকে ক্যাম্পাসে লাশ পড়ছে। আমরা অবিলম্বে সাম্য হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।

জাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পায়তারা শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনে জাকসু নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ তাদের পুরনো পায়তারা শুরু করেছে। যারা বিগত ১৭ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ব্লকের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল সেই সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অবস্থান করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আমরা বারবার আপনাদের বলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিচার আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সেই বিচার আপনারা করতে পারেননি। এই ক্যাম্পাসে এখনো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

এসআর