রাজধানীর নবাবগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
অভিযানে দেখা যায়, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে দোকান বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করে কায়সার সুইট মিট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মচারীরা। এসময় সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে মিষ্টির দোকানের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং কাপড়ে মেশানো রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবার। এছাড়া ফ্রিজের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া জিলাপী সংরক্ষণে রাখতে দেখা যায়। দধির মধ্যে উৎপাদন তারিখ বা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া পাশের এ্যাপেল ফুড এন্ড কনফেকশনারীতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকার কেক বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হলেও উৎপাদন মেয়াদ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ লেখা নেই। বেকারী পণ্যের মোড়কে প্রতিষ্ঠানের কোনো ঠিকানা লেখা নেই। এসব অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ নবাবগঞ্জ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই ধরনের অপরাধ করলে বড় ধরনের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরইউ