জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলিম আখতার খান বলেছেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ হালনাগাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে ‘ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ক একটি সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভোক্তাবান্ধব সুস্থ সমাজ গঠিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মহাপরিচালক।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল হান্নান চৌধুরী।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) আব্দুল জলিল, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর আব্দুর রব খান, মার্কেটিং ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোঃ নাহিন মামুন এবং আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মোঃ লোকমান হোসেন।
এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সরকারের কাজে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শাস্তি দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়, এটি নিশ্চিতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিদ্যমান আইনের সীমাবদ্ধতা ও জনবলের সংকট সত্বেও সমাজের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সমর্থন নিয়ে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ভোক্তার অধিকার মূলত মানবাধিকার। শুধু কঠোর আইন প্রয়োগ নয়, শিক্ষার মাধ্যমে সভ্য সমাজ গঠনই পারে ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিত করতে।