রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম ও পেয়ারার পর এবার পদ্মার চরের বরই রফতানি হচ্ছে বিদেশে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে প্যাকেজিং করে বরইয়ের প্রথম চালান হিসেবে ইতালিতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়ার সাদি এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা।
সাদি এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, তিনি পদ্মার চরে ৩০ বিঘা পেয়ারা ও ৩০ বিঘা জমিতে বরই চাষ করেন। অথচ এক সময় চরের এসব জমিতে কোনো আবাদ হতো না। তিনি জমি ইজারা নিয়ে ধীরে ধীরে পরিচর্যা করে আবাদ করা শুরু করেন। এখন এসব জমিতে আম, বরই ও পেয়ারা চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
চরের এসব জমিতে পেয়ারা ও বরই চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ আধুনিক পদ্ধতির চাষ শিখেছেন। কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যাওয়ার কারণে বিদেশে রফতানির উপযোগী আম, পেয়ারা ও বরই উৎপাদিত হচ্ছে। এ জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউল্লা সুলতান বলেন, উপজেলার চাষিরা কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আম চাষ করে বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। ঢাকার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালে নিকট দু’দিনে ১৫০ কেজি করে ৩০০ কেজি বরই পাঠানো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া মোড়ক দিয়ে মোড়ানো হচ্ছে এসব বরই। এরপর কার্গো ফ্লাইটে বরইগুলো ইতালিতে পৌঁছাবে। এবারও পদ্মার চরে বরই চাষ ভালো হয়েছে। উপজেলায় এবার বরই চাষ হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে।
কয়েব বছর থেকে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশে আম পাঠানো হচ্ছে। গত মৌসুমে ৩০ মেট্রিকটন আম পাঠানো হয়েছিল। একইভাবে প্রথমবারের মতো পেয়ারা ও বরই বিদেশে রফতানি করা হয়েছে।
এসআর