বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার যে প্রতিবেদন অথবা তাদের যে বক্তব্য কমিশনকে দিয়েছে এখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনে বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে যেহেতু গতকালের হরতালের পর বিএনপি আবারও তিন দিনের অবরোধ দিয়েছে সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনো অবনতি না ঘটে সেজন্য তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সতর্ক থাকছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল তাদের হরতালের পর আবার একটি সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘বৈঠকে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনপরবর্তী শান্তিশৃঙ্খলা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, কোন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ তাদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের সক্ষমতা তুলে ধরেছেন। দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব দিলে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এই বিষয়টি তারা সভায় উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্য শুনেছে, কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কে পরবর্তীতে যতগুলো পরিপত্র জারি করা হবে, সেগুলো নির্দেশনার আলোকে বাহিনীগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা নির্বাচন কমিশনকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে গতকালের হরতালের পর বিএনপি আবার তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করছে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনপরবর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী ধাপসমূহে কোনো ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে অবহিত করবেন। তখন নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করবে।’
ভোটের আগের রাতে কিংবা ভোটের সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেক সময় আছে। এ নিয়ে সামনে আরও সভা হবে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তফসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
এনপি