রাজধানীতে মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, বদরুদ্দোজা বাদল।
শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী মাসুম আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘তার (ফখরুল) বর্তমান বয়স ৮১ বছর। তিনি হ্নদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। ইতোপূর্বে তিনি বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন। ঘটনার দিন এবং ঘটনার সময় তিনি এই মামলার ঘটনাস্থলে ছিলেন না। মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করেছেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনোকিছু বলা হয়নি। তাকে অযথা হয়রানি করার জন্য মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তিনি এ ধরনের কোনো কাজে কোনোভাবেই জড়িত হতে পারেন না।’ অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের প্রধান কৌসুলি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।
গত ২ নভেম্বর একই আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অসুস্থ জানিয়ে শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিন শুনানি দুদিন পিছিয়ে বুধবার দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। পরদিন সকালে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এসআর