ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ফাইন্যান্স বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘হেদায়েত উল্লাহ ধিক্কার, চাইছি তোমার বহিষ্কার’, ‘এক দফা এক দাবি, পাপুল তুই কবে যাবি?’, ‘পাপুলের চামড়া, তুলে নিব আমরা।’ স্লোগান দিতে থাকনে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, হেদায়েত উল্লাহর মতো শিক্ষকের কারণে পুরো বিভাগের মর্যাদা আজ প্রশ্নের মুখে। তারা বলেন, ‘এ ধরনের শিক্ষককে আমরা শ্রদ্ধা করতে পারি না। ক্লাসে তার উপস্থিতি আমাদের জন্য লজ্জার।’ এসময় তারা অভিযুক্ত ছাত্রীকেও অনৈতিক সম্পর্কের দায়ে বিভাগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
এ বিষয়ে ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শিবলী সাদিক বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে একই বিভাগের এক ছাত্রীসহ ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ধরা পড়েন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। তবে গত বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়েই এই ঘটনা ঘটে, যা আরও বেশি বিতর্কের জন্ম দেয়।
হেদায়েত উল্ল্যাহ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র সদস্য এবং রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতায়ও তার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে।
এ ঘটনায় আলোচনায় ওই ছাত্রী ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতকে (বিবিএ) ভালো ফল অর্জন করেছেন।
এফএ/এসআর