ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইবান্ধায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্বা তরুণীর গর্ভপাত

বাংলা ডেস্ক
মে ২৯, ২০২৫ ৬:০১ অপরাহ্ণ । ৪৮ জন

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম মিয়া (১৯) নামের যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ধর্ষণের শিকার এই তরুণী ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে সুকৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ওই যুবক। এ ঘটনায় এই তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া একই গ্রামে বসবাসরত এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম-ভালেবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারপর মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। প্রায় ৬ মাস আগে থেকে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার একপর্যায়ে মেয়েটির শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এনিয়ে সন্দেহ হলে ধর্ষক নাইম মিয়া গত ২৪ মে সাদুল্লাপুর ডায়াবেটিক সমিতিতে মেয়েটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সেখানকার রিপোর্টে মেয়েটি অন্তঃসত্বা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষক নাইম মিয়া ফের বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য মেয়েকে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেয়ে দেন। এরপর গত ২৬ মে হঠাৎ করে মেয়েটির পেটের ব্যাথা অনুভব হয়। তখন প্রথমে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় স্বজনরা। সেখানে একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করে মেয়েটি। এ হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোছা. ইসমত জাহানের তত্বাবধায়নে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পর ২৮ মে এই রোগীকে রিলিজ দেন চিকিৎসক। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষকের বিচার দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভিকটিমের বাবা-মা বলেন, আমরা অত্যান্ত দরিদ্র মানুষ। স্বামী পরিত্যাক্তা আমাদের মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলে নাইম মিয়া বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে মামলা করা হলে নাইম ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের হুমকি প্রদর্শন করছে। এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাইম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় যায়নি।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, জয়েনপুর গ্রামের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (২৭ মে) তার মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

টিএইচজে/ এসআর