ঢাকারবিবার , ২৫ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কসমেটিক্সে গোপন কোড, বিদেশি দাবিতে প্রতারণা: জরিমানা ভোক্তা অধিদপ্তরের

রাফিদুল ইসলাম রাজু
মে ২৫, ২০২৫ ৯:১৪ অপরাহ্ণ । ৫৫ জন

চীন ও থাইল্যান্ডের নাম ব্যবহার করে বিদেশি কসমেটিক্স পণ্য হিসেবে দাবি করে গোপন কোডের মাধ্যমে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলো কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব পণ্যে আমদানিকারকের তথ্য অনুপস্থিত, এবং প্রকাশ্য মূল্য তালিকাও ছিল না। এমন অনিয়মের দায়ে রাজধানীর তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটে অভিযান চালায় অধিদপ্তর। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এবং সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম।

অভিযানে দেখা যায়, বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি করা হলেও সেগুলোর পেছনে নেই কোনো বৈধ আমদানিকারক। ব্যবসায়ীরা মৌলভীবাজার ও চকবাজার থেকে পাইকারি দরে এসব পণ্য সংগ্রহ করে ‘বিদেশি পণ্য’ বলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। তবে বৈধ আমদানি না থাকায় পণ্যের গুণগত মান বা আসল-নকলের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।

এছাড়াও, এসব পণ্যের মোড়কে কোনো মূল্য লেখা নেই। বরং ক্রেতাদের সঙ্গে গোপন কোডের ভিত্তিতে দরদাম করে ইচ্ছেমতো দাম আদায় করা হচ্ছে। এতে করে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন এবং বাজারে পণ্যের স্বচ্ছতা ও মান নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটছে।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, “বৈধ আমদানিকারকের তথ্য ও পণ্যের মোড়কে দৃশ্যমান মূল্য না থাকার কারণে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমদানিকারকের তথ্যবিহীন কোনো বিদেশি পণ্য বিক্রি করা যাবে না। পণ্যের মোড়কে কোম্পানি বা আমদানিকারকের নাম, মূল্য এবং প্রয়োজন হলে বিএসটিআই-এর মান সনদ থাকতে হবে। এছাড়া গোপন কোড ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।”

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ ধরনের প্রতারণা রোধে নিয়মিত তদারকি অব্যাহত থাকবে।